মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর খেয়াঘাট এলাকায় ফুলদী নদীর পূর্ব পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ওই সময় নদী দখল করে নির্মাণ করা ২৫টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানা যায়, ইমামপুর ইউনিয়নে সীমানাধীন নদীর এই অংশে কোথাও পিলার উঠিয়ে আবার কোথাও লাল পতাকা টানিয়ে নদীর জায়গা চিহ্নিত করা হয়। এরপর অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে টানা দুই দিন মাইকিং করা হয়। বুধবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হয় যা বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চলবে।
অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা এখানে এসেছি। দুইদিনের অভিযানের প্রথমদিন বুধবার বিআইডব্লিউটিএর জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে এমন ২৫টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর মেঘনাঘাট নদী বন্দরের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল ১১টার দিকে আমরা অভিযান শুরু করি। সব আইনি প্রক্রিয়া মেনে আমাদের এই অভিযান পরিচালিত যা হচ্ছে যা অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে অবৈধ দখলদারদের ভেতর। অনেকে এগুলো তাদের ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় হিসেবে দাবি করেছেন। কেউ আবার গত কয়েকদিন মাইকিং করার পর নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী দাবি করা ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ্জুজামান খান জিতু বলেন, ‘অভিযানে আমার একটি ভবন ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমি আরএস রেকর্ড সূত্রে জমিটির মালিক। আমার কাছে সব বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তারা কোনো কিছুই আমলে না নিয়ে ভবনটি ভেঙে দিল।’
আরেক ভুক্তভোগী দাবি করা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মিয়াজী বলেন, ‘জীবনে কখনো শুনি নাই এই জমির মালিক সরকার। সিএস এবং আরএস রেকর্ড সূত্রে মালিক আমরা। কিছুদিন আগে এখানে জমি বিক্রিও হয়েছে। গত দুই দিন আগে মাইকিং করে আজ আমাদের দোকানপাট ভেঙে দেয়া হয়েছে।’