গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিমঞ্জুরী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী সোমবার পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করেন।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
যা আছে ইউএনওর অফিস আদেশে
ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল্লাহ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ম সিরাজুল ইসলাম, সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাছিনুর রশিদ, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোক্তার হোসেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হরিমঞ্জুরী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেকের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট বিবরণ উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাটের অভিযোগ তোলেন স্কুলের ১৪ জন সহকারী শিক্ষক।
শিক্ষকরা লিখিত আকারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই দফায় ২৫টির মতো অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেন। অভিযোগ পেয়ে স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব করার জন্য এডহক কমিটি একটি আভ্যন্তরীণ অডিট করে।
অডিট প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২০ ও ২০২১ সালে স্কুলের মোট আয় হয়েছে ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা। তা থেকে প্রধান শিক্ষক ব্যয় দেখিয়েছেন ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬৯ টাকা। উদ্বৃত্ত ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৭১ টাকা স্কুলের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।