গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি মোবাইল প্রস্তুতকারক একটি কারখানার বর্জিত মালামাল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুরা এলাকা থেকে এই মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত কাজী কামাল, কাজী হুমায়ুন ও আসাদুজ্জামান জনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে কামাল ও হুমায়ুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবু বকর সিদ্দিকের ভাই।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টায় গাজীপুরা সাতাইশ রোডে একটি মোবাইল প্রস্তুত কারখানার বর্জিত মালামাল নিয়ে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লার লোকজনের সঙ্গে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবু বকর সিদ্দিকের লোকজনের মারামারি হয়। এতে দুপক্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লার পক্ষ থেকে মো. কুদ্দুস বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুরা এলাকা থেকে তাদের তিনজনকে পশ্চিম থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর কাজী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কারখানার পক্ষ থেকে আমার পরিচিত একজন বর্জিত মালামাল বের করার জন্য কারখানার প্যাডে ৩১ জানুয়ারি লিখিত অনুমতি নেয়। সোমবার কারখানায় বর্জিত মালামাল আনতে গেলে কাউন্সিলর বিল্লাল মোল্লার লোকজন তাদেরকে মারধর করে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলব বিল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমার লোকজন আগে থেকেই ওই কারখানার বর্জিত মালামাল নিয়ে আসছে। ১৭ জানুয়ারি কারখানার পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি দেয়া হয়। সোমবার কারখানায় মালামাল আনতে গেলে কাজী আবু বকরের লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি সাওখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়ছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’