প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি চেষ্টার মামলায় রাজশাহীতে তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক ফয়সাল তারিক আসামিদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক জানান, আসামিদের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সবাইকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার চার আসামি হলেন- দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানী, আরএমপি সদর দপ্তরের কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসান।
আরএমপি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জামিরুল ইসলাম জানান, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এই চারজনসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়। আর মেহেদীকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার কারাগারে নেয়া হয়। আদালতে সবার রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতারক চক্রটি অসৎ পন্থা অবলম্বন করে চাকরির পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার চুক্তি করেছিলেন পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষার আগের দিন বৃহস্পতিবার প্রথমে আরএমপির দুই পুলিশ সদস্যকে নিজেদের হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে শনিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কারিমা খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী। মকলেসুর রহমান নামে এই মামলার আরেক আসামি এখনও পলাতক।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা পুলিশের সদস্যরা অভিযানের সময় কনস্টেবল শাহরিয়ার পারভেজের বাড়ি থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত ১৬টি গেঞ্জি, ১৩টি চুম্বক দণ্ড, ক্ষুদ্র গোলাকৃতির চুম্বকযুক্ত ২৬টি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ফোনের ১৫টি চার্জার জব্দ করে।
অত্যাধুনিক এসব ডিভাইস ব্যবহার করেই চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীকে বাইরে থেকে সব প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল চক্রটির।