বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • প্রতিনিধি, নোয়াখালী   
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১২:৫৫

নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১৫ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল, মো. হানিফ, রুহুল আমিন, স্বপন, মো. চৌধুরী, ইব্রাহীম খলিল বেচু, মো. বাদশা আলম বসু, আবুল হোসেন আবু, মোশারফ, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. মুরাদ, মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি ও মো. সোহেল। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী।

নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেয়ার জের ধরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।

ওই ঘটনার পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী ও মামলার বাদী বলেন, ‘আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামিদের বাড়ি আমাদের একই এলাকায় এবং তারা প্রভাবশালী। তাই আমরা সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসন ও আদালতের কাছে আমাদের আর্জি, তারা যেন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।’

আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন বলেন, ‘এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামিপক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করে, তবে কোনো সাক্ষীই ভোট কেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেয়ার জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেনি।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, ‘এ মামলায় অন্য কোনো সাক্ষী না নিয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

এ বিভাগের আরো খবর