মানিকগঞ্জে বেসরকারি ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এক সাংবাদিককে ছবি তুলতে ও তথ্য সংগ্রহে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে।
মানিকগঞ্জ শহরের ওয়্যারলেস গেট এলাকার পালস ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আসিফ খান মনির জানান, ওই সময় তিনি তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাবিহা সুলতানা ডলি তাকে বাধা দেন এবং ছবি তুলতে ডিসির অনুমতি আনতে বলেন।
মনির বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের এক সদস্য ফোনের মাধ্যমে জানান বিকেলে বেসরকারি অবৈধ হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। সেই তথ্য পেয়ে ছবি ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য মানিকগঞ্জ শহরের ওয়্যারলেস গেট এলাকার বেসরকারি পালস ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যাই। এরপর অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করলে আমি কয়েকটি ছবি তুলি ও ভিডিও করি।
‘ওই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাবিহা সুলতানা ডলি সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর পুলিশের মাধ্যমে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং আমার ছবি ও ভিডিও ডিলিট করেন। তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ছবি বা ভিডিও অথবা তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলে জেলা প্রশাসকের লিখিত অনুমতি লাগবে।’
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাবিহা সুলতানা ডলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অভিযানের সময় ছবি বা ভিডিওর জন্য এডিএম স্যার অথবা জেলা প্রশাসক স্যারের অনুমিত লাগবে। অনুমিত ছাড়া ছবি তোলা যাবে না।’
অনুমতির বিষয়ে জানতে কথা হয় জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতারের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালিন করবেন। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখা হবে।’
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অতীন্দ্র চক্রবর্তী বিপ্লব জানান, মোবাইল কোর্ট একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, এখানে ছবি তোলার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। যারা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা প্রদান করবেন, তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা উচিত।’
এ ছাড়াও মনির জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কতগুলো বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়েছে- এসব তথ্য দিতেও রাজি হননি সাবিহা সুলতানা।