বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড. ইউনূসের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২২:৩২

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছয় মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এই আবেদন করেছেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছয় মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূস যেন বিদেশ যেতে না পারেন, আবেদনে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার এই আবেদন জমা দিয়েছেন।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। আদালতের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূস যেন বিদেশ যেতে না পারেন, সে আবেদনও করা হয়েছে।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ২৮ জানুয়ারি জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। সেদিন শ্রম আদালতের দেয়া সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিগণ।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ‌এবং ৩০৭ ধারার অপরাধে পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের রায়ের পরপরই এক মাসের জামিন দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর