দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে জানুয়ারি মাসে মোট ১৪৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান সামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব অভিযানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র এবং গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৪৫ জন চোরাকারবারিকে।
জব্দকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ৬ কেজি ৬২০ গ্রাম স্বর্ণ, ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৭ হাজার ৮৭৪টি ইমিটেশন গহনা, ১৩ হাজার ৪৮৯টি শাড়ি, ১২ হাজার ৩২ পিস পোশাক, ৪ হাজার ৮৮২ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ১৫০ কেজি চা পাতা, ২৭ হাজার ১৫০ কেজি কয়লা, কস্টি পাথরের দুটি মূর্তি, ১৪টি ট্রাক, একটি বাস, সাতটি পিকআপ, তিনটি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৯টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৫৯টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৯টি পিস্তল, ৫টি বিভিন্ন প্রকার বন্দুক, ৮টি ম্যাগাজিন, ২ কেজি ৪৫ গ্রাম গানপাউডার ও ৩৩ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- ১০ লাভ ৪৮ হাজার ১৬৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ কেজি ৩১২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩৯ কেজি ৩৭৪ গ্রাম হেরোইন, ১১ হাজার ৯৭৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৯ হাজার ৭২৪ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ২৯৬ লিটার বাংলা মদ, ১ লাখ ১ হাজার ৭৬০ পিস মদ তৈরির ট্যাবলেট, ১ হাজার ৩৮ ক্যান বিয়ার, ৬৫৪ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫৪৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ২ হাজার ৪৮২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৪ কেজি ৮৪৫ গ্রাম কোকেন, ১১ হাজার ৯৭৬ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৫ লাখ ২১ হাজার ৩০৮ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১৬৭ প্যাকেট কীটনাশক এবং ১ হাজার ১৬৪টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৫ জন চোরাচালানিকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৫৭ জন বাংলাদেশি, ৬ জন ভারতীয় এবং ১৮৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।