মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও পাঁচ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার বিকেলে আশ্রয় নেয়া এই পাঁচজনের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার সকালে বিজিপির ১৪ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এ নিয়ে প্রতিবেশী দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোট ১৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন।
এদিকে রোববার সকাল থেকেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপের বিকট শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠেছে সীমান্তবর্তী এলাকা। মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া বুলেট ও মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে বসতবাড়িগুলোতে।
এতে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ছে। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। কৃষিসহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘রোববার ভোর থেকেই মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এ সময় স্থানীয়দের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
অপরদিকে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।