পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হলে সবসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় উল্লেখ করে বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানাধীন জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে রোববার সকালে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় বডি বিল্ডার মিস্টার বাংলাদেশ ফারুক হোসেনের, যাকে পুলিশ সদস্যরা হেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করে পরিবার।
হেফাজতে নির্যাতনে ফারুকের মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকার বংশাল থানার ওসি মাইনুল ইসলামসহ পাঁচ সদস্যের নামে হওয়া মামলাটি গত ৩১ জানুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত।
এদিকে হেফাজতে নির্যাতনে ফারুকের মৃত্যুর খবরটি নজরে আনার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী তানভীর আহমেদকে রিট আবেদন করতে বলে হাইকোর্ট।
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর খবরের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘এমন ঘটনা সংঘটিত হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মরদেহের সুরতহাল করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের মতামত, পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) ও তদন্তের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে আসে, সেটি নিয়ে সবসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। সামনেও এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্দর আছে। সে জন্য বন্দর থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন আছে।
‘শুধু বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তা নয়, বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সঙ্গে এই ইউনিটের (নৌ পুলিশ) সমন্বয় থাকা দরকার।’