প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে ইয়ারফোনের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর বলে দেয়া ও প্রতারকচক্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) এক এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন রাজশাহী দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার এএসআই গোলাম রাব্বানী, কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল। দুই কনস্টেবল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
আরএমপির মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার আগে একটি প্রতারকচক্রের সঙ্গে পুলিশের এ সদস্যরা ১৫২০ জন চাকরিপ্রার্থীকে পাস করিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের ইয়ারফোন সরবরাহ করেন তারা। এ ইয়ারফোনের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেয়ার কথা ছিল।
এ জন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা করে চুক্তি হয়।
পুলিশ আরও জানায়, পরীক্ষার আগের রাতে প্রতারকচক্রের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের এমন তৎপরতার বিষয়ে জানতে পেরে প্রথমেই আরএমপি সদর দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল ও আবদুর রহমানকে আটক করে আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে শুক্রবার রাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানা থেকে এএসআই গোলাম রাব্বানীকে আটক করা হয়।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার জুমারপাড়া গ্রামের এক পরীক্ষার্থী এ প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় মামলা করে। মামলায় গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্য ছাড়াও মেহেদী হাসান ও মকলেসুর রহমান আপনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই কনস্টেবল ও এক এএসআইকে আজ সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন।’
আরএমপির আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক বলেন, ‘রাতে আসামিদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, তবে আদালতে আসামিদের কোনো জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।’