বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাটি ভরাটে বন্ধ সেচযন্ত্র, মুন্সীগঞ্জে ধান চাষ ব্যাহতের শঙ্কা

  • প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ   
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১২:০৪

মাটি ভরাটের বিষয় জাহাঙ্গীর ব্যাপারী বলেন, ‘ড্রেনলাইন ও সেচযন্ত্রটি আমার জমিতে, আমার জমি আমি ভরাট করেছি। করিম শেখ ডিপ চালাতে চাইলে আশপাশের অন্য কোনো জমিতে বসিয়ে চালাতে বলেন।’

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জমির মাটি ভরাটের কারণে কৃষি কাজে ব্যবহৃত সেচযন্ত্র (ডিপ টিউবওয়েল) মাটির নিচে চাপা পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে জমিতে সেচ না পেয়ে এবার ইরি ধান চাষ নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানায়, ৩৫ বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের ফলপাকর মৌজায় একটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। যেখানে প্রায় ১০০ বিঘা জমি এ সেচের আওতায় পানি সেচ সুবিধা পেয়ে আসছে।

ফলপাকর গ্রামের মো. করিম শেখ নিজেকে ডিপ টিউবওয়েলটির বর্তমান মালিক বলে দাবি করছেন। তিনি ১০ বছর ধরে ইরি ধান জমির ব্লকে সেচ কাজের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে জানান।

করিমের অভিযোগ, ডিপ টিউবওয়েলটির পাশের জমির মালিক জাহাঙ্গীর ব্যাপারী নিজ জমি দাবি করে মাটি ভরাট করে সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।

করিম বলেন, ‘গত বছর কৃষি মৌসুম শেষে সেচযন্ত্রটির পাশে কৃষি জমির মালিক জাহাঙ্গীর ব্যাপারী খনন যন্ত্র দিয়ে পকেট কেটে তার নিজ জমিটি বর্ষা মৌসুমে ভরাট করে নেয়। এতে সেচের পানি প্রবাহের চ্যানেল ও সেচযন্ত্র ডিপ টিউবওয়েলটি ভরাট হওয়া মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। এতে এ ব্লকে ইরি জমিগুলো নিয়ে অনাবাদি শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।’

ভরাটের বিষয় জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর ব্যাপারী বলেন, ‘ড্রেনলাইন ও সেচযন্ত্রটি আমার জমিতে, আমার জমি আমি ভরাট করেছি। করিম শেখ ডিপ চালাতে চাইলে আশপাশের অন্য কোনো জমিতে বসিয়ে চালাতে বলেন। মাটি ভরাটের সময় তাকে জানিয়েছি, তখন সে ঢাকায় ছিল।’

সেচযন্ত্র মালিক করিম শেখের অভিযোগ, তাকে না জানিয়ে জাহাঙ্গীর ব্যাপারী বেকু দিয়ে মাটি ভরাট করে ড্রেন লাইন ও ডিপ টিউবওয়েল বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন মাটি সরাতে দিচ্ছেন না।

পানির কারণে জমিতে ধান রোপণ করতে পারছেন না জানিয়ে কৃষক টিপু মুন্সি বলেন, ‘অন্য সব ব্লকে জমিতে ধান রোপণ হয়ে গেছে। সেচ চালু না হলে আমার জমি অনাবাদি রয়ে যাবে।’

কালুরগাও গ্রামের কৃষক মো. রাসেদ বলেন, ‘এই ব্লকে আমি আরও আগে ধান রোপণ শেষ করেছি, এখন পানির জন্য জমিতে মাটি ফেটে রয়েছে, রোপণ করা ধানের চারা মরে যাচ্ছে।’

কৃষক মুনছুর বলেন, ‘সেচ চালু না হওয়ায় আমার আট গন্ডা জমিতে এখনও ধান রোপণ করতে পারি নাই।

গাঁওদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ডিপ টিউবওয়েলের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে। সমস্যা সমাধানে কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনও।

এ বিভাগের আরো খবর