সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে প্রয়োজনে ৫০ বছর সময় দিতে হবে বলে বৃহস্পতিবার যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, এক দিন পর তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শুক্রবার সকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে গতকালের বক্তব্যের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ১২ বছরেও কেন শেষ হয়নি, তা আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত দোষী চিহ্নিত করতে তদন্তে সময় লাগতে পারে। এ জন্য যতদিন সময় লাগবে, দিতে হবে।
‘পুলিশকে জোর করে তদন্ত শেষ করিয়ে চার্জশিট দেয়ানো ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে; ৫০ বছর লাগলেও দিতে হবে।’
রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি খুন হন বেসরকারি মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। এ হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ২৩ জানুয়ারি।
ওই দিন তদন্তকারী সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় বিচারক তা জমার পরবর্তী দিন ঠিক করেন ২৭ ফেব্রুয়ারি। এ নিয়ে ১০৫তম বারের মতো পেছায় হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা।
প্রতিবেদন জমার সময় নিয়ে আগের দিনের বক্তব্যের বিষয়ে হাস্যোজ্জ্বল আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বিতর্কের বিষয় না। আমার দুঃখ হয় এই কারণে, আপনাদেরকে (সাংবাদিক) ভালো কথা বললেও আপনারা অন্যভাবে নেন। আপনারা ক্ষেপে যান।’
তিনি বলেন, ‘হত্যার ৪২ বছরে আসামি ধরা, ২৪ বছরে রহস্য উন্মোচনের ঘটনা আছে। আমি সময়টা আপেক্ষিক অর্থে বলেছি।
‘প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে সময় লাগলেও দিতে হবে বুঝিয়েছি। যারা প্রকৃত দোষী, তাদেরকে চিহ্নিত করতে অনেক সময় লাগে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় যতই সময় লাগুক না কেন, প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হবে।