বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিআইবির দুর্নীতি পরীক্ষা করা দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ২২:৩০

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা মনে করি সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে পারে, সেজন্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা ভালো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যখন একচোখা হয়ে যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে, রিজভী আহমেদের কথা আর টিআইবির বক্তব্য যখন মিলে যায়, তখন বোঝা যায়, ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার দুপুরে ‘১৯৯৪ সালে লালবাগে ৭ হত্যাকাণ্ড’ স্মরণে রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্ক মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারকে পুরো পৃথিবী অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। এটাকে খাটো করার জন্য কিছু একটা বলতে হবে। সেজন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে নাকি দুই ধাপ নেমে গেছে বাংলাদেশ!’

তিনি বলেন, ‘এখন টিআইবির অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। এভাবে একপেশে রিপোর্ট দিয়ে সরকারকে খাটো করা যাবে না।’

বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তারা অন্যদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা যেখান থেকে ফান্ড পায়, যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেয়, সেভাবেই কাজ করে। তবে এ ধরনের সংগঠন থাকুক- আমরা চাই।

‘আমরা মনে করি সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে পারে, সেজন্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা ভালো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যখন একচোখা হয়ে যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে, রিজভী আহমেদের কথা আর টিআইবির বক্তব্য যখন মিলে যায়, তখন বোঝা যায়, ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’

১৯৯৪ সালে কী হয়েছিল

১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরের দিন লালবাগে পরাজিত কমিশনার পদপ্রার্থী বিএনপির নেতা আবদুল আজিজ তার কর্মিবাহিনী নিয়ে বিজয়ী কমিশনারের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে এলোপাতাড়ি গুলি চালান।

সে সময় হুমায়ুন কবিরের সমর্থকরা বিজয় মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রতিপক্ষের হামলায় সেদিন লালবাগ এলাকার দেলোয়ার, গাজী, নজরুল, আনোয়ার, হাফিজ, আজিজ ও শাহ আলম নিহত হন।

বিচারিক আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, নয়জনকে যাবজ্জীবন ও এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে। পরে ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই হাইকোর্ট সেই সাজা বহাল রাখে।

হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যের শুরুতে ৩০ বছর আগের হত্যার শিকার ৭ জনের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। এটি তারা মেনে নিতে পারে নাই।

‘নির্বাচনের পরের দিন এই হতাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এরপরেও অবদমিত হয়নি, বরং এই খুনি চক্রকে রুখে দিয়েছিল। সেই বিজয়ের যাত্রাপথ বেয়ে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর