মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। জান্তা সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘাত-সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশটি। সেখানে চলমান অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব যাতে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সীমানায় না পড়ে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও তৎপর সীমান্তে দায়িত্বরত কোস্ট গার্ড ও বিজিবি।
মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে অব্যাহত সংঘাত ও গোলাগুলির ঘটনায় আতংকে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উপকূলের বাসিন্দারা।
বুধবার কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ বলেন, ‘মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে মানব পাচার, চোরাচালান, মাদকদ্রব্যের অবৈধ অনুপ্রবেশসহ নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
‘এখন এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলেরা নাফ নদ ও সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরছে। আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি। জেলেসহ স্থানীয়দের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে।’
কোনো দালাল যাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করাতে না পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বোটগুলোর দু’পাশে বাংলাদেশের পতাকার চিহ্ন এঁকে দিয়েছি। দালালদের গতিবিধি আমাদের নজরদারিতে আছে। সে সুবাদে কোনো বোটে রোহিঙ্গা এলে আমরা সেই বোটগুলোকে আইনের আওতার আনতে পারব।’