বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবির নির্মাণাধীন ভবনধস: তদন্তে কমিটি

  • প্রতিবেদক, রাজশাহী    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৫:১০

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এ ঘটনায় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যয় পুরোটাই বহন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে আহত শ্রমিকরা যে কয়দিন কাজ করতে পারবেন না, সেই দিনের ক্ষতিপূরণের অর্থও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন শহীদ এমএইচএম কামরুজ্জামান হলের ছাদ ধসের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন ছাড়াও কাজের গুণগতমান পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।

রাবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে রাবির এই ছাদ ধসের ঘটনার পর আবারও আলোচনায় এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ‘বালিশকাণ্ডে’ আলোচিত মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন। কারণ এ প্রতিষ্ঠানটিই রাবির শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নির্মাণের কাজ করছে।

রাবির শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান আবাসিক হলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। মঙ্গলবার সকাল থেকে একটি অংশের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ সেই ছাদটি ধসে পড়ে। এতে ছয়জন শ্রমিক আহত হন।

এনিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভার শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ ধসের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকারকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।

এ ছাড়া আরও দুই সদস্য হলেন রাবির রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী রাসেদুল ইসলাম ও রাবির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইমরুল হাসান। এই কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন ছাড়াও এই ভবনের যে কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে তারও গুণগত মান যাচাই করবে।

এক্ষেত্রে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, এ ঘটনায় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যয় পুরোটাই বহন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে আহত শ্রমিকরা যে কয়দিন কাজ করতে পারবেন না, সেই দিনের ক্ষতিপূরণের অর্থও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

২০১৭ সালে ১০ তলা এই ভবন নির্মাণ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের জুন মাসে, তবে নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় পরে সময় বাড়ানো হয়।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণ ত্রুটির কারণেই এ অংশটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। কোনো কিছু যদি ত্রুটি নাই থাকে, তবে সেটি তো আর এমনি এমনি ভেঙে পড়বে না।’

রাবির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড রুয়েটেও কাজ পেয়েছে। তারা সিটি করপোরেশনেও কাজ পেয়েছে। তবে, রাবির এই কাজটি নিম্ন মানের বলে মনে হয়নি।’

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘আমি এখন গোটা কাজটি নিয়ে সন্দিহান; তদন্ত করে দেখা হবে। যেটা করা দরকার, করা হবে। এটির সঙ্গে আমাদের অর্থ ও শিক্ষার্থীদের জীবন জড়িত।’

এ বিভাগের আরো খবর