পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী কালো পতাকা মিছিলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশি হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে হামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অবৈধ সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে পুলিশ। এমনকি তাকে ধাক্কা দিয়ে জিপে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম, ড. মঈন খান পুলিশের কাছে বার বার জানতে চাচ্ছিলেন তার অপরাধ কী? কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে মঈন খানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও কীর্তিমান মানুষকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে জিপে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং নাজেহাল করে। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও তার সঙ্গে আটক হওয়া অন্য নেতাকর্মীদের এখনও ছেড়ে দেয়নি পুলিশ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাগেরহাটের রামপালে কালো পতাকা মিছিল থেকে বিনা কারণে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমকে এবং রাজধানীর উত্তরা থেকে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ ৪ নেত্রীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
‘সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের নেত্রীদেরকে এখনও ছেড়ে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগে রয়েছেন। কিছুদিন আগে সুলতানা আহমেদের হার্টে রিং বসানো হয়েছে। তিনি অসুস্থ। অথচ তাকে এখনও ছেড়ে না দেয়াটা চরম অমানবিক।
‘কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং সুলতানা আহমেদসহ অন্যদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’