সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে নাইম নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ এবং তার সাবেক স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে নিহত তরুণীর স্বজনদের অভিযোগ, কক্ষ আটকে ওই তরুণীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর নিজের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক।
মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ী এলাকায় শফুর মন্ডলের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ২১ বছর বয়সী মিম আক্তার নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার খোকশাবাভী গ্রামের মোংরা সরদারের মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার সাবেক স্বামী ২৫ বছর বয়সী নাইম নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার মকিনপুর গ্রামের মৃত জালালের ছেলে।
মিমের ভাই মো. খোরশেদ বলেন, ‘আমি গ্যারেজে কাজে যাওয়ার পর আমার স্ত্রী ফোন করে জানায় যে নাইম আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। তিন বছর আগে মিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ওকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে নাইম। এরপর দুই বছর সংসারও করে ওরা। কিন্তু নাইম মাদকাসক্ত হওয়ায় ওদের সংসারে ঝগড়াঝাঁটি চলত। তখন অনেক বলেও নাইমকে ভালো করা যায়নি। দেড় বছর আগে আমার বোন এসব কারণে নাইমে তালাক দিয়ে আলাদা থাকা শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে কাঁইচাবাড়ী এলাকায় আরেকটি মেয়ের সঙ্গে রুম শেয়ার করে স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করত মিম। নাইম গত ১০ দিন ধরে মিমকে খুঁজে বের করে আবারও তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। বিয়ে না করলে মিমকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় সে। সবশেষ আজ ক্ষোভ থেকে মিমের রুমে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ওই তরুণীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর তার সাবেক স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। নিহত তরুণীর বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাতের বেশ কয়েকটি ক্ষত রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’