তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুইটি উপপক্ষ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী সড়কে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে রাত ২টার দিকে পুলিশ দুইপক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিবাদমান উপপক্ষ দুইটি হলো ভিএক্স ও সিএফসি। এদের মধ্যে ভিএক্স পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিজেদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও সিএফসি পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচয় দেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে ভিএক্স পক্ষের এক কর্মীকে মারধর করেন সিএফসি পক্ষের কর্মীরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ভিএক্সের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এবং সিএফসির নেতা-কর্মীরা আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্রও দেখা যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব জানান, সংঘর্ষে আহত হয়ে আটজন চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে তিনজনের মাথায় সেলাই দেয়া হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ভিএক্স পক্ষের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দুই বন্ধুর ভুল বোঝাবুঝি থেকে জুনিয়রদের মধ্যে ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা আজ বসে মীমাংসা করে ফেলব।’
একই কথা বলেন সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ।
চবির প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকেই হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’