বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবিতে এক সপ্তাহে জন্ডিসে আক্রান্ত ৭০ শিক্ষার্থী

  • প্রতিবেদক, রাজশাহী   
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১০:৫৯

রাবি চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলছেন, মূলত পানির কারণেই এটি বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের সাব মার্সেবল বা নলকূপের পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। হেপাটাইটিস ‘এ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

গত এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে জন্ডিস আক্রান্তের ঘটনা বেড়ে গেছে। এই সময়ে অন্তত ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী হেপাটাইটিস ‘এ’-তে অর্থাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা ছুটছেন চিকিৎসা কেন্দ্রে।

রাবি চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলছেন, মূলত পানির কারণেই এটি বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের সাব মার্সেবল বা নলকূপের পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। হেপাটাইটিস ‘এ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

চিকিৎসা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৬ জন শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করে হেপাটাইটিস ‘এ’ ধরা পড়ে ৭০ জন শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীরা মূলত জ্বর, খাবারে অরুচি নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করাতে গিয়ে জন্ডিস ধরা পড়ছে।

এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, যেদিন থেকে জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে সেদিন থেকেই আমরা মেডিক্যাল সেন্টারকে বলে দিয়েছি সচেতনভাবে দেখার জন্য। এ ছাড়াও আমরা গণমাধ্যমের সাহায্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জানাতে চেষ্টা করেছি তারা যেন যেখান-সেখানের পানি পান না করে। টিউবয়েল বা সাবমার্সিবলের বিশুদ্ধ পানি পান করে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. লোমান মঞ্জুর (অপু) বলেন, সম্প্রতি পরীক্ষায় অনেকেরই হেপাটাইটিস ‘এ’ ধরা পড়ছে। এটি মূলত পানিবাহিত রোগ। পানির মাধ্যমে এটি ছড়ায়। এ ছাড়া অনেকেই বাইরের যেসব খাবার খায়, যেমন বার্গার ফুচকা, সেখানে যেসব পানি ব্যবহার করা হয় বা ছাত্র ছাত্রীরা পান করে এর মাধ্যমেও জন্ডিস ছড়াতে পারে। আবার স্ট্রিট ফুডের দোকানে গিয়ে যে পানিটা পান করে সেটির মাধ্যমেও এটি হতে পারে। এ বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এ ছাড়া হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা যে পানি খাচ্ছে সেগুলোতেও সমস্যা থাকতে পারে। সেখানে হয়তো পর্যাপ্ত সাবমার্সেবল নাও থাকতে পারে। তবে, আশার কথা হচ্ছে হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস যেভাবে ক্ষতি করতে পারে ‘এ’ তে সেভাবে ক্ষতি করতে পারে না বা সেভাবে ছড়ায় না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলেন, এই সমস্যা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, এটি শহরেও বেড়েছে। আমি রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছি তারাও বলছেন এটি বেড়েছে। হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাসের কারণেই জন্ডিস হচ্ছে। এটি মূলত একটি পানিবাহিত রোগ। এটি হেপাটাইটিস ‘বি’ এর মত ঝুঁকিপূর্ণ নয় বা ছোঁয়াচে নয়।

তিনি বলেন, এটি নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হতে নিষেধ করছি। এটির প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে বিশ্রাম নেয়া। প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের সচেতনতা। যেসব শিক্ষার্থী হলে থাকে তাদের সাবমারসিবলের পানি খেতে হবে। ক্যাম্পাসে হোটেল ও ক্যান্টিন মালিকদের উচিত টিউবওয়েল বা সাবমারসিবলের বিশুদ্ধ পানি দিয়ে রান্নার কাজ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা। যাদের লক্ষণ খারাপ মনে হয়, তাদের দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে এসে ট্রিটমেন্ট নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, হেপাটাইটিস ‘এ’ বেড়ে যাবার তথ্য আমিও শুনেছি। আমি এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাব মার্সেবল বা নলকূপের পানি পান করার জন্য বলা হচ্ছে। বাইরে যেখানে সেখানে পাইপের পানি না পান করার জন্য বলা হচ্ছে। মূলত এজন্য সচেতনতার বিষয়টি জরুরি।

এ বিভাগের আরো খবর