বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবধর্মী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে কীভাবে হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে সোমবার ‘টেকনো-ইকোনমিক স্টাডি অফ ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন টেকনোলজিস ফর বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও আর্থিক কৌশলগত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ এনইএফ এই কর্মশালায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎস ও এর ব্যয় নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন করে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে পারমাণবিক বিদ্যুৎ আসবে। ১২ হাজার ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অকৃষিজ জমির প্রাপ্যতা অন্যতম প্রধান সমস্যা। আমরা অনশোর এবং অফশোর বায়ু শক্তি নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছি।
‘সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সঞ্চালন ও বণ্টন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং গ্রিড সিনক্রোনাইজেশনের ওপর এখন বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে।’
কর্মশালায় ব্লুমবার্গের পক্ষে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ব্লুমবার্গের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান ড. আলী ইজাদি, দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট লিডার ইশু কিকুমা এবং সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট তরুণ ব্লাকৃষ্ণান।
তারা ইউটিলিটি স্কেলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে সমর্থন করা, ছাদ ও ভাসমান সৌর ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পরিষ্কার প্রযুক্তির কাজের জন্য প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন।
গবেষকরা বলেন, কয়লার সঙ্গে অ্যামোনিয়া বা প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে হাইড্রোজেন মিশিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে। তবে খরচ বেশি হবে। অন্যদিকে সৌরশক্তির সঙ্গে ব্যাটারি বা বাতাসের সঙ্গে ব্যাটারি ব্যবহার অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, স্রেড চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, পিডিবি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবি চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের অধ্যাপক এজাজ আহমেদ ও বদরুল ইমাম।
জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরীসহ বিভাগীয় প্রধানরাও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।