কুমিল্লার মেঘনায় স্থানীয় আধিপত্য ও পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলার চালিভাঙ্গা বাগ বাজারের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
নিহত মো. কামরুল ইসলাম উপজেলার চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে ও চালিভাংগা ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছিলেন।
আহতদের মধ্যে দাইয়ান, সোহেল, মুরাদ ও হানিফাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং দাইয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদের সদস্য (মেঘনা) মো.কাইয়ুম হোসেন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা-মামলা লুটপাটের অভিযোগ চলে আসছিল। এ নিয়ে কাইউম গ্রুপের হামলায় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নিজাম সরকার নিহত হন।
তারা জানান, ওই ঘটনায় মামলা হলে কাইউম গ্রুপ দীর্ঘদিন গ্রামছাড়া ছিল এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় চালিভাঙ্গায় অস্থায়ী পুলিশ মোতায়েনও করা হয়েছিল। সম্প্রতি নিজাম সরকার হত্যায় অভিযুক্ত আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরতে চাইলে গত ২৮ জানুয়ারি হুমকি দেয় হুমায়ুন চেয়ারম্যান গ্রুপ।
স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি পুলিশ জানায় রোববার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়। এরপর কাইয়ুম গ্রুপের নলচর, ফরাজিকান্দি, চালিভাঙ্গার লোকজন সোমবার দুপুরে যার যার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই টিটু সরকারের নেতৃত্বে হামলা করা হয় এবং পাল্টা হামলায় উভয় গ্রুপই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কামরুল ইসলামসহ ৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কামরুল ও দাইয়ানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে কামরুল মারা
এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। বিকেল ৪টার দিকে গ্রামে এসে শুনি আমার ছোট ভাই টিটু কাইয়ুমের আব্বাকে লোকজন নিয়ে বাজারে ঘুরতে দেখলে গ্রামের সবাইকে ডেকে আনে। পরবর্তীতে কী হয়েছে জানি না।
মেঘনা থানার ওসি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন বাড়িছাড়া থেকে জামিন পেয়ে গ্রামে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। জড়িতেদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি এবং কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি।