ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে একটি ভারতীয় পণ্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, ভারতের সমর্থনে এই সরকার টিকে আছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়। ক্ষমতার উৎস ভারত। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের ভোটের আশা করে না এবং বাংলাদেশের জনগণের ভোটের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস নেই।
‘ভারত সরকারের ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থী।’
রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, ভারতের সহযোগিতায় বিনা ভোটে তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা আবারও দখল করেছে। ভারতের প্রতিভু হয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এক সর্বনাশা কতৃর্পক্ষে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব দুর্বল করে একটি ডামি রাষ্ট্র বানানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কার্যকর করছেন তিনি।’
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি রাফিউল ইসলাম টুকলুর নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানান তিনি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দায়িত্বশীলদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘কেবল সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনোপ্রতিবাদ করে না নতজানু সরকার। এটাই কি স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার নমুনা?’
রিজভী বলেন, ‘কেউ যদি অন্যায় করে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার বিধান থাকলেও বিএসএফ তার কোনো তোয়াক্কাই করে না। তারা ‘ট্রিগার হ্যাপী নীতি’তে কাজ করছে। তারা সীমান্তে বাংলাদেশিকে পাখির মতো গুলি করে মারে। এটা আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী ভয়াবহ অপরাধ।’