বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির জি কে গউছ কারামুক্ত

  • প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ    
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:০০

জি কে গউছের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম তার কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

চার মামলায় কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও টানা তিনবারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র জি কে গউছ।

সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।

দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা জি কে গউছকে তার বাসভবনে নিয়ে যান।

এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খাইরুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ আগস্ট বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানা-পুলিশের করা পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় জি কে গউছের জামিন মঞ্জুর করে।

এ ছাড়া গত ৯ অক্টোবর হবিগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় এবং গত ৩ ডিসেম্বর একই আদালত হবিগঞ্জ কারাগারে জি কে গউছকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২০১৫ সালে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের করা মামলায় জি কে গউছকে জামিন দেয়।

জি কে গউছের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম তার কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জি কে গউছের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, গত ১৯ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর ঈদগার সামন থেকে জি কে গউছের নেতৃত্বে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি।

ওই সময় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ ছাড়াও সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ কয়েক পুলিশ সদস্য আহত হন।

সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক শ রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি বেগতিক হলে পুলিশ রায়ট কার এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে বিএনপির ১২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে হবিগঞ্জ সদর থানায় দুইটি মামলা করা হয়।

পরদিন ২০ আগস্ট বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন। এই তিনটি মামলায় নেতা-কর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা ও আহত নেতা-কর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ঢাকায় যান জি কে গউছ।

২৯ আগস্ট ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে হাইকোর্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে জি কে গউছকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা সিএমএম কোর্টে হাজির করা হয়। একই সঙ্গে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির কোতোয়ালী জোনাল টিমের উপপরিদর্শক আফতাবুল ইসলাম।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর