করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন জেএন.১ সংক্রমণ রোধে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী ভারত-বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, কিন্তু বন্দরের ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে থার্মাল স্ক্যানারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ায় পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
এমন বাস্তবতায় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, থার্মাল স্ক্যানারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠাতে জ্যেষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
কী বলছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশি-বিদেশি ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেন। এ ছাড়া পণ্যবাহী ৬০০ ট্রাক ও দেড় সহস্রাধিক ট্রাকচালক আসা-যাওয়া করেন। তাদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ভারতের পাসপোর্টধারী একাধিক যাত্রী জানান, বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহ কম। তারা নিজেরা সচেতন ও যাত্রীদের সচেতন করলে সুরক্ষা জোরদার হবে।
ভারতগামী যাত্রী আসলাম বলেন, ‘ঘরে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবে না। সরকারের নির্দেশনা মেনে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে পথ এগোতে হবে।
আর এ বিষয়ে সতর্কতা কেউ না মানলে আবারও পেছনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন।’
কবির হোসেন নামের আরেক যাত্রী জানান, চিকিৎসার জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারতে যাচ্ছেন। বন্দর ও কাস্টমস স্বাস্থ্য বিভাগে যারা দায়িত্বে আছেন, তারা সচেতনতার বিষয়ে কিছু বলেননি, তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে শোনার পর সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ভাষ্য
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার মরিয়ম খন্দকার জানান, করোনার জেএন.১ নতুন উপধরনের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সুরক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে। যাত্রীদের সচেতন করার পাশাপাশি হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়, তবে থার্মাল স্ক্যানারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নষ্ট থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য জ্যেষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।