কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় বাজারে দুই দিন থেকে একটি কার্টুনে রাখা হয়েছে বনবিড়ালের তিনটি ছানাকে। মানুষের উপস্থিতি টের পেলে নিজেদের লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করে ছানাগুলো।
স্থানীয়দের ভাষ্য, বাজারের বাসিন্দা ফরিদ আহম্মেদ মিলনের বাড়ির একটি ঘরের চালের ওপর ছেয়ে গেছে বাগান বিলাশ গাছ। সেখানে আস্তানা করে মা বনবিড়াল। ওই জায়গাতেই তিন ছানা প্রসব করে প্রাণীটি।
ঘরটি মেরামতের জন্য ভাঙা হলে রোববার সকালে ছানা তিনটির দেখা মেলে। পড়ে এগুলোকে উদ্ধার করেন স্থানীয় যুবকরা।
দুই দিন থেকে ছানা তিনটিকে নিয়ে বিপদে পড়েছেন উদ্ধারকারী যুবকরা। স্থানীয় প্রশাসন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি তাদের।
এ নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় যুবক আমিনুল ইসলাম তোহা ও রানা মিয়া। তাদের একজনের ভাষ্য, ‘এই বাচ্চা তিনটিকে উদ্ধার করে আমরা বিপদে পড়েছি। এগুলো রাখাও সমস্যা। এরা কী খায়, তাও জানা নেই। দুই দিন হলো এরা অভুক্ত।
‘স্থানীয় প্রশাসন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেও কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না। আর এগুলোকে ছেড়েও দেয়া যাচ্ছে না। বাজার এলাকা হওয়ায় বহু কুকুরের আনাগোনা রয়েছে। কুকুর এগুলোকে মেরে ফেলতে পারে।’
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা বন কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বলেন, ‘বনবিড়ালের বাচ্চাগুলো যেখান থেকে পাওয়া গেছে, সেখানে ছেড়ে দিতে হবে, যাতে তার মা এসে নিয়ে যেতে পারে।’
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বনবিড়ালের তিনটি ছানা উদ্ধারের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এগুলো যেহেতু ছোট, তাই দূরে নিয়ে আসা যাবে না।
‘যেখানে পাওয়া গেছে, তার আশপাশে সন্ধ্যায় এদের ছেড়ে দিতে হবে।’