বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেহেরপুরে ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও স্কুল খোলা

  • প্রতিনিধি, মেহেরপুর    
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৪:০১

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম শাহা বলেন, ‘যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এ কনকনে শীতের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মেহেরপুরে শীতের দাপট যেন কমছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের লুকোচুরি। জেলায় সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি দিনই তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেই থাকছে। এমন বাস্তবতায় মেহেরপুরের সব সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে বেসরকারি স্কুলগুলো।

মেহেরপুরের আবহাওয়ার তথ‍্য প্রদানকারী চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘সোমবার মেহেরপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। আর সকাল নয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।’

এ কনকনে শীতের মধ‍্যেও মেহেরপুরে বেসরকারি স্কুলগুলোতে যথারীতি পাঠদান কার্যক্রম চলছে। অথচ দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এমন নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিস থেকেও দেয়া হয়েছে।

অথচ সেই নির্দেশনাকে অমান‍্য করে জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দীতে অবস্থিত আনন্দ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিডিএস স্কুল, কুড়ির মেলা কিন্ডারগার্ডেন এবং সান লাইট ইংলিশ ভার্সন স্কুলে চলছে পাঠদান থেকে শুরু করে সব শিক্ষা কার্যক্রম।

আনন্দ স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সামির বলেন, ‘এ কনকনে শীতের মধ‍্যে খুব সকালে উঠে স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। তারপরও আমাদের স্কুলে যেতে হয়। স্কুলে না গেলে স‍্যারদের কৈফিয়ত দিতে হয়। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় বন্ধ থাকছে।’

সান লাইট ইংলিশ ভার্সন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র জারা বলেন, ‘আব্বু আমাকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠিয়ে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ‍্যে স্কুলে নিয়ে এসেছে। স্কুলে আসার সময় খুব শীত লেগেছে।’

জারার বাবা রিপন হোসেন বলেন, ‘আসলে এ কনকনে শীতের মধ‍্যে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে মন চায় না। তারপরও পাঠাতে হয়। স্কুলে না পাঠালে পাঠক্রমে অন‍্যদের থেকে পিছিয়ে পড়বে।’

সান লাইট ইংলিশ ভার্সন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু হোসেন বলেন, ‘১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও আমরা ঠিকমতো তথ‍্য না পাওয়ায় এমনটি হয়েছে। তারপর আমরা টিফিন টাইম থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম শাহা বলেন, ‘যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এ কনকনে শীতের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলার সব উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। যারা সরকারি নিয়মকানুন না মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদান কর্মসূচি চালু রেখেছে তাদের তালিকা তৈরি করে ব‍্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু আজকে জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখার নিদর্শনা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর