বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দ, টেকনাফে আতঙ্ক

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৫৭

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোলেমান বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির শব্দে বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছি না। শনিবার নুরুল ইসলামের বসতঘরে একটি গুলি এসে পড়েছে।’

সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকায়।

হোয়াইক্যংয়ের খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামে সোমবার সকাল থেকেই গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে গ্রামের ৫০০ পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি বলেন, ‘তুমব্রুর পর এবার টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে সীমান্তের দুই গ্রামে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আমরা তাদের খোঁজ রাখছি।’

তিনি বলেন, ‘দুদিন ধরে গোলাগুলির শব্দ আসছে। ফলে খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ৫০০ মানুষ ঝুঁকিতে আছে। পরিস্থিতি বুঝে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, সোমবার সকাল থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাফ নদের তীরে গোলাগুলি হয়েছে। এতে এখানকার লোকজন ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সীমান্তে নুরুল ইসলামের বসতঘরে শনিবার একটি গুলি গিয়ে পড়ে। বিষয়টি জানান নুরুল ইসলামের শাশুড়ি সামজিদা বেগম।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোলেমান বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির শব্দে বাড়িঘরে থাকতে পারছি না। শনিবার নুরুল ইসলামের বসতঘরে একটি গুলি এসে পড়েছে।’

সীমান্তে বসবাসকারী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের তালিকা তৈরি করেছেন। আমরা অনেক ভয়ে আছি।’

টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এ সীমান্তে গোলাগুলির খবর জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে বসবাসকারীদের তালিকা করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা সজাগ রয়েছে বিজিবি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে বিজিবি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, ‘টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া, তুলাতুলি ও কানজরপাড়া সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারে প্রচুর গোলাগুলি চলছে। ভয়ে আমরা বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছি না। চিংড়ি ঘেরেও যেতে পারছি না।’

এ বিভাগের আরো খবর