বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরইয়ে আগ্রহ বাড়ছে বরুড়ায়

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘এ গ্রামের দুই একর মাঠে এখন কুল চাষ হচ্ছে। দিন দিন এই কুলের চাষ আরও বাড়বে।’

জাল দিয়ে ঘিরে রাখা বাগানগুলোয় থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল সবুজ বরই। চাষিদের কেউ গাছের যত্নআত্তিতে ব্যস্ত; কেউ সংগ্রহ করছেন ফল। বাগানে উঁকি দিচ্ছে পাখিরা। কাঁচা-পাকা বরই কিনতে ক্রেতারা আসছেন দূরদুরান্ত থেকে।

এমন দৃশ্য দেখা যাবে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে।

গত বছর থেকে স্থানীয় কয়েকজন বরই চাষ শুরু করেন। তাদের দেখাদেখি এ বছর অন্তত দুই হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে বল সুন্দরী, বাউ সুন্দরী ও কাশ্মীরি জাতের বরই। বরই চাষে আগ্রহ বাড়ছে উপজেলার কৃষকদের।

৮০ হাজার টাকা ব্যয় করে বছর শেষে সাড়ে চার লাখ টাকার বরই বিক্রির আশা রয়েছে বলে জানান চাষিরা।

কৃষক সুরুজ মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি। বাড়িতে অলস বসে থাকতে ইচ্ছে হয় না। তাই ইউটিউব ঘেটে দেখি কুল চাষ। স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে কুল চাষ শুরু করি।’

সুরুজের কাজে উৎসাহিত হয়ে সিদ্দিকুর রহমান ও রমিজ মিয়াসহ অন্য কৃষকরাও বরই চাষ শুরু করেন।

সুরুজ জানান, বর্তমানে তিনি ৬৪ শতক জমি চাষ করছেন। এ বছর তার ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি করেছেন দেড় লাখ টাকার কুল। মোট পাঁচ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

পাইকারি ক্রেতা নুরে আলম বলেন, ‘পাশের লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারে তাদের ফলের দোকান রয়েছে। তিনি পাইকারি কেজি ৮০ টাকা দরে বরই কিনেছেন। ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। এই কুল তাজা ও স্বাদ ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি, বিক্রি করতে বেশি সময় লাগে না।’

সিদ্দিকুর রহমান জানান, সুরুজের বরই চাষের সফলতা দেখে তিনিও চাষ শুরু করেন। এর চাহিদাও অনেক।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি এখানে কিছু উচ্চমূল্যের ফসল চাষ করতে। সুরুজ মিয়াকে আমরা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। তার দেখাদেখি অন্য কৃষকরাও বরই চাষে এগিয়ে আসেন। এ গ্রামের দুই একর মাঠে এখন কুল চাষ হচ্ছে। দিন দিন এই কুলের চাষ আরও বাড়বে।’

এ বিভাগের আরো খবর