বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমাকে অপহরণ করা হয়নি: খুলনার সেই তরুণী

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১০:১০

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাড়িতে করে যশোরের কেশবপুরের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসেছি। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে ‘অপহরণ’ হওয়া তরুণী জানান, তাকে অপহরণ করা হয়নি। তিনি আত্মীয়দের সঙ্গে ছিলেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা থানায় রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তরুণীকে হাজির করা হলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তরুণী বলেন, ‘আমাকে অপহরণ করা হয়নি। আমি আমার আত্নীয়-স্বজনদের সঙ্গে ছিলাম। গাড়িতে করে যশোরের কেশবপুরের আত্নীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম।’

পরে একই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমি কখন, কোথায় কীভাবে গেলাম তা জানি না।

এর আগে রোববার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা তরুণীকে খুমেক হাসপাতাল থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

চেয়ারম্যানের নিজ কার্যালয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে শনিবার রাতে অভিযোগ করেন তার ভাই।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল জানায়, রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে হাসপাতালের ওসিসি থেকে ওই তরুণীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

ঘটনার সময় ওই তরুণীকে আইনি সহায়তা দিতে হাসপাতালে গিয়েছিল দলটি।

সংস্থাটির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওসিসির সামনে আগে থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ওই তরুণী ছাড়পত্র নিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে জোর করে তুলে নেয়া হয়েছে। ওই সময় আমাদের দলের সদস্যদেরও মারধর করা হয়েছে।

‘সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামান তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন। ওই তরুণী আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে চেয়েছিলেন, তবে তাকে জোর করে অপহরণ করা হলো।’

পরে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে যশোর থেকে উদ্ধার করে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, যে গাড়িতে করে মেয়ে ও মেয়ের মাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই গাড়িতে করেই মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন যুবক। সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ওই মেয়ের সঙ্গে ছিলেন তার মা ও মামী।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাড়িতে করে যশোরের কেশবপুরের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসেছি। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সঙ্গে সম্পর্ক কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এজাজ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার মেলা দিনের সম্পর্ক। বিভিন্ন সময় সুবিধা-অসুবিধার জন্য তার কাছে গিয়েছি।’

ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমাকে সুযোগ দিন সুস্থ হওয়ার। তখন আপনারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদি উত্তর না দিতে পারি আমার বিরুদ্ধে লেখেন, কিছু বলব না।’

খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন।

তখন তরুণীর পরিবার চিকিৎসকদের কাছে অভিযোগ করেন, সন্ধ্যায় ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন।

অপহরণ ও উদ্ধারের বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার রাতে খবর পাই খুমেক হাসপাতালের সামনে থেকে একটি মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান জড়িত আছেন। সে জন্য তাকেও থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল।

‘এখন ভিকটিম নিজে এসে অপহৃত হননি বলে দাবি করেছেন। তাই অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হবে।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, অপহরণের বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত বা মৌখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর