প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর (পারিতোষিক ও বিশেষ অধিকার) আইন, ১৯৭৫ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) সরকারের সচিব পদমর্যাদা ও ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত) বেতনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হলো। এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সরকারের আমলেও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে নিয়োজিত ছিলেন স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ। একজন বাংলাদেশি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ তিনি। গরিবের ডাক্তার হিসেবে দেশব্যাপী তার সুনাম রয়েছে।
এ বি এম আবদুল্লাহর জন্ম ১৯৫৪ সালে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেণ। ২০১৬ সালে তিনি একুশে পদক পান এবং ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে বিভিন্ন নিয়মিত লেখালেখি করছেন। এ ছাড়াও তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য ছয়টির বেশি মেডিকেল পুস্তক রচনা করেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শর্ট কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, লং কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, ইসিজি অব মেডিক্যাল প্র্যাকটিস, রেডিওলজি অব মেডিক্যাল প্র্যাকটিস, স্বাস্হ্য বিষয়ক নির্বাচিত কলাম।
তার রচিত এ সব বই মেডিক্রাল পুস্তক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ব্রিটেনসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক কলাম লিখে থাকেন।
ডাক্তার আব্দুল্লাহ শর্ট কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন বইটির জন্য ‘ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ অর্জন করেন। ২০১৬ সালে গবেষণায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান। তিনি ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রদত্ত ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০১৯ সালে ইউজিসি তাকে অধ্যাপক নিযুক্ত করে।