বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৌসুমে সাত হাজার টন গোলপাতা আহরণের লক্ষ্য

  • প্রতিনিধি, বাগেরহাট    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৫৭

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) স্টেশন অফিসার শেখ মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে দুটি গোলপাতার কূপ রয়েছে। একটি হলো শ্যালা গোলপাতা কূপ অপরটি চাঁদপাই গোলপাতা কূপ।’

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে গোলপাতা আহরণ মৌসুম। এ মৌসুম চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এবার শ্যালা ও চাঁদপাই কূপ থেকে সাত হাজার টন গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

শীতের তীব্রতা বেশি থাকলেও রোববার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে গোলপাতা সংগ্রহে বনে রওনা দেবেন মোংলার দক্ষিণ চরের বাসিন্দা বাওয়ালি মোজাম্মেল হাওলাদার। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে সুন্দরবন থেকে গোলপাতা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন তিনি।

বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সোমবার থেকে গোলপাতা আহরণে বনের অভ্যন্তরে যাবেন বাওয়ালিরা।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) স্টেশন অফিসার শেখ মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার থেকে গোলপাতা আহরণকারী বাওয়ালিদের অনুমতিপত্র দেয়া হবে। এর পর উপকূলের বাওয়ালিরা বনের মধ্যে প্রবেশ করবেন।

মোংলার জয়মনি এলাকার বাওয়ালিরা জানান, প্রতি বছর গোলপাতা আহরণের আগে নৌকা মেরামত করা লাগে। গোলপাতা আগের মতো এখন আর চলে না। ভালো দামও পাওয়া যায় না। সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালাতেও কষ্ট হয়। গোলপাতা আহরণের নৌকাগুলো অন্য কোনো কাজে ব্যবহার না হওয়ার কারণে গোলপাতার মৌসুম শেষ হলে নৌকাগুলো নদীর চরে ফেলে রাখতে হয়।

মোংলার গোলপাতা ব্যবসায়ী লিটন বলেন, ‘বর্তমানে মানুষের কাছে গোলপাতার চাহিদা আগের মতো না থাকায় বিক্রি কমেছে। এতে অনেকের আড়তে গতবারের পুরোনো গোলপাতা এখনও রয়েছে।’

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) স্টেশন অফিসার শেখ মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে দুটি গোলপাতার কূপ রয়েছে। একটি হলো শ্যালা গোলপাতা কূপ অপরটি চাঁদপাই গোলপাতা কূপ। বাওয়ালিরা সুন্দরবনে যাতে নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পারে সে জন্য বন বিভাগ থেকে যেমন নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা, তেমনি এ গোলপাতা আহরণে রয়েছে শর্ত।

‘গোলপাতা আহরণের সময় বনের অন্য কোনো ধরনের গাছপালা কাটা যাবে না। কোনো বাওয়ালি যদি গোলপাতার পাশাপাশি অন্য প্রজাতির গাছ কাটেন কিংবা বনের ক্ষতি করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্টেশন অফিসার আরও জানান, ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গোলপাতা আহরণ মৌসুম চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ মৌসুমে শ্যালা ও চাঁদপাই কূপ থেকে সাত হাজার টন গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবার মৌসুমে প্রতি কুইন্টাল গোলপাতা আহরণে ভ্যাট ব্যতীত রাজস্ব নেয়া হচ্ছে ৬০ টাকা।

তবে গোলপাতার ব্যবহার কমে আসায় কূপ থেকে গোলপাতা আহরণের পরিমাণ কমছে। আগে যেখানে ১৫০ থেকে ২০০ নৌকা হতো সে তুলনায় এবার প্রচুর কম নৌকা গোলপাতা আহরণে যাচ্ছে। নৌকার সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাওয়ালির সংখ্যাও কমে গেছে।

এবারও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম গোলপাতা আহরণ হবে বলেও জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর