চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক সেবিকাকে তার স্বামী গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার পৌর এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো হাফিজা খাতুন উপজেলার বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী। তিনি ওই ক্লিনিকে প্রায় আট বছর ধরে সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার পর স্বামী কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি ধারালো ছুরি।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাফিজার স্বামী কবির হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাজিম উদ্দিন জানান, প্রথম স্বামীর সংসারে বিচ্ছেদের পর মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ক্লিনিকে নার্সের কাজ শুরু করেন হাফিজা। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন কবির হোসেনের সঙ্গে। গত কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। শনিবার রাতে ক্লিনিকে ঢুকে হাফিজাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন কবির। পরে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।