যমুনা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ, বলরামপুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা এবং মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি এলাকায় যমুনা নদীর বাম তীর বরাবর ৬ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে হচ্ছে এই বাঁধ।
জিও ব্যাগ দিয়ে নদীতীর প্রতিরক্ষামূলক এই কাজ শনিবার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে শুরু করে আরিচা ঘাট পর্যন্ত একটি রিংরোড করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্ট করেছেন। নিশ্চিন্তপুর নামে একটি গ্রাম ছিলো। সেটি এখন নদীগর্ভে। অনেক মানুষ বাড়ি-ঘর, জমি হারিয়েছেন। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন তারা। আজ তাদের খুশির দিন।’
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কেউ অনিয়ময়ে জড়িত থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আজ স্থায়ী বাঁধের কার্যক্রম শুরু হলো নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার মাধ্যমে। এরপর সিসি ব্লক দেয়া হবে।
এই প্রকল্পের শুরু হতে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করার জন্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।
দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসই অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বাঁধের কাজ শুরু করতে না পারা আমার একটা অপূর্ণতা ছিলো। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে স্থায়ী বাঁধের কাজটা শুরু করতে পারলাম। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ মোচন হতে চলেছে।’
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদীর পাশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে অনেকের জমি নিতে হতে পারে। যাদের জমি সরকারি কাজে লাগবে ইউএনওর মাধ্যমে তাদের নামের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বাঁধ নির্মাণে বাধা না দেয়ার অনুরোধ করে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, যমুনা নদীর ভাঙনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষাকল্পে ‘Flood and Riverbank Erosion Risk Management Investment Program (Project-02)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।