স্বাস্থ্যখাতে বিগত সময়ে অনেক উন্নতি হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘হাসপাতালে হাসপাতালে এখনও রোগীরা ফ্লোরে (মেঝেতে) চিকিৎসা নেন। ঢাকা মেডিক্যালের ফ্লোরে রোগীদের চাপে হাঁটাচলা করাই মুশকিল। ফলে সেখানে ভালো চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসকদের জন্য কঠিন কাজ। আমরা এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছি; ফ্লোরে যাতে কাউকেই চিকিৎসা নিতে না হয় সেটি নিয়ে খুব দ্রুতই কাজ শুরু করা হচ্ছে।’
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীতাকুণ্ড উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বেশিরভাগ চিকিৎসকরা কেন উপজেলা বা তৃণমূল পর্যায়ে থাকেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে কেন চিকিৎসকরা থাকেন না, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উপজেলা পর্যায়ে একজন চিকিৎসককে থাকতে হলে সেখানে তার জন্য সুযোগ-সুবিধাও তো থাকতে হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তাও আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। সামান্য কোনো কারণে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর আক্রমণ করা হলে এবং সেখানে তাদেরকে ঠিকভাবে নিরাপত্তা দেয়া না হলে তারা পরিবার-পরিজন ছেড়ে দূরে গিয়ে থাকবেন না- সেটাই তো স্বাভাবিক! এজন্য আমাদেরকে প্রথমে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এই বিষয়টিতেও গুরুত্ব দিয়েছি। আশা করছি, আগামীতে এই সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।’
২৬ ও ২৭ জানুয়ারি দুদিনের এক সরকারি সফরে চট্রগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে বর্তমানে চট্রগ্রামে অবস্থান করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ছাড়াও বিকেলে স্থানীয় বিভিন্ন তৃণমূল স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে আলাদা করে একটি মতবিনিময় সভা করেন ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ও চট্রগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ অন্যান্যরা এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।