বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেসব কৌশলে ট্রেনের টিকিট মজুত করতেন কালোবাজারিরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৩৯

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চক্রের সদস্যরা প্রথমে ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলওয়ে স্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশপাশের টোকাই, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরদের টাকার বিনিময়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নানা কৌশলে ট্রেনের টিকিট অগ্রিম সংগ্রহ করে অবৈধভাবে নিজেদের কাছে মজুত রাখত একটি চক্র। এর পর সাধারণ যাত্রীদের কাছে দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতেন তারা।

কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে টিকিট কালোবাজারি চক্রের হোতাসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩-এর অভিযানিক দল। এ সময় মোবাইল ও নগদ টাকাসহ মজুতকৃত ১২০০-এর বেশি ট্রেনের টিকিট উদ্ধার করা হয়।

কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তার ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে।

তারা হলেন সেলিম, আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম, শ্রী অবনী সরকার সুমন, হারুন মিয়া, মান্নান, আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু, ফারুক, শহীদুল ইসলাম বাবু, জুয়েল ও আব্দুর রহিম, উত্তম চন্দ্র দাস এবং তার প্রধান সহযোগী মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির, আবদুল আলী।

খন্দকার আল মঈন জানান, চক্রের সদস্যরা প্রথমে ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলওয়ে স্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশপাশের টোকাই, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরদের টাকার বিনিময়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেয়া হয়। এ ছাড়াও ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনে তারা স্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী ও অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান ‘সহজ ডটকমের’ কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম/আইটির সদস্যদের সহযোগিতায় জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ও সার্ভার ডাউন করে অনলাইনের টিকিট সংগ্রহ করতেন।

পাশাপাশি টিকিট কারবারিরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের নিকট থেকে সংগ্রহ করতেন বলেও জানায় র‍্যাব।

সম্প্রতি ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়া এবং টিকিট কালোবাজারি কর্তৃক অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রয়ের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। এর পরই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ ও কালোবাজারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব ফোর্সেস।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জিড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।

র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে এবং উক্ত মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর