বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবেশবান্ধব ভার্মি কমপোস্টে বাড়তি আয়

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:৪১

নারীদের হাতের ছোঁয়ায় যে সার তৈরি হয়, তার পুষ্টিতে মাঠে হাসে সবুজ ফসল। এ সারের একাংশ তারা নিজেদের বাগানে প্রয়োগ করেন। বাকিটা করেন বিক্রি।

সকাল সকাল সংসারের কাজ শেষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নারীরা। বাড়ির আঙিনা কিংবা ঘরের পেছনে পরিত্যক্ত জায়গায় রিং বসিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরিতে।

নারীদের হাতের ছোঁয়ায় যে সার তৈরি হয়, তার পুষ্টিতে মাঠে হাসে সবুজ ফসল। এ সারের একাংশ তারা নিজেদের বাগানে প্রয়োগ করেন। বাকিটা করেন বিক্রি।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বড় আলমপুর গ্রামের ২৫০টি পরিবারের ২৭০ জন নারী ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরি করে পেয়েছেন স্বাবলম্বিতার পথ। সার বিক্রির টাকায় নিজেদের খরচ চালানোর পাশাপাশি সংসারের উন্নতিতেও ভূমিকা রাখতে পারছেন তারা।

যেভাবে তৈরি হয় ভার্মি কমপোস্ট

বড় আলমপুর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, নারীরা ব্যস্ত ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরিতে। দূরদুরান্ত থেকে কৃষকরা আসছেন। তারা প্রতি কেজি ভার্মি কমপোস্ট ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

একাধিক কৃষক জানান, রাসায়নিক সারের চেয়ে ভার্মি কমপোস্ট পরিবেশবান্ধব। এটি বেশি ফসল উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখে, যে কারণে সারটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

বড় আলমপুর গ্রামের নারীরা জানান, এক মাসের বাসি গোবর খেয়ে কেঁচো মল ত্যাগ করে। এর সঙ্গে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। এ দুইয়ে মিলে যে সার তৈরি হয়, সেটিই ভার্মি কম্পোস্ট।

কৃষকরা জানান, এ সার সব ধরনের ফসলের ক্ষেতে ব্যবহার করা যায়।

কৃষিবিদদের মতে, ভার্মি কমপোস্ট বা কেঁচো সার প্রয়োগের ফলে মাটির পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির পাশপাশি বায়ু চলাচল বাড়ে। এতে মাটির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়।

বড় আলমপুর গ্রামের রানু আক্তার, সালেহা বেগম ও সেলিনা আক্তার জানান, তারা ছয় বছর আগে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি তথা বার্ড থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তৈরি করছেন ভার্মি কমপোস্ট সার। সাংসারিক কাজের অবসরে তারা এ সার তৈরি ও বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

তাদের ভাষ্য, কেঁচো থেকে তৈরি হয় বলে প্রথমে অনেকেই নাক সিটকাতেন। এখন অনেকেই এ সার তৈরি ও বিক্রি করছেন। পাশাপাশি দূরদুরান্ত থেকে কৃষকরা এসে ভার্মি কমপোস্ট সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি ভার্মি কমপোস্ট সার ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ওই নারীরা জানান, ভার্মি সার তৈরিতে যে কোঁচো ব্যবহার করা হয়, সেই কেঁচো তারা বিক্রি করেন হাজার টাকা কেজি দরে।

কৃষক হারুন মিয়া বলেন, ভার্মি কমপোস্ট সার ব্যবহারে ফলন বৃদ্ধি পায়। এ সার দিয়ে উৎপাদিত ফসল শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।

যা বলছেন কৃষি কর্মকর্তা

বড় আলমপুরসহ আশেপাশের গ্রামে নারীদের ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরি ও ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমেনা খাতুন। সকাল থেকে বিকেল নাগাদ বাড়ি বাড়ি ঘুরে নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি। কীভাবে ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরি করতে হয়, সংরক্ষণ করতে হয়, তা জানান এ কর্মকর্তা।

আমেনা খাতুন জানান, তার ব্লকে অন্তত ১০ হেক্টর জমিতে সবুজ শাকসবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে সাত হেক্টরেই ভার্মি কমপোস্ট ব্যবহার করেন কৃষকরা।

এ বিভাগের আরো খবর