বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাল পাহাড়ে আরসার শীর্ষ তিন সদস্য আটক, ২২ অস্ত্র উদ্ধার

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:০৩

র‍্যাব কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি ও মাস্টার খালেদের নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল পাহাড়ে আস্তানা গেঁড়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করে আরসা সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ। আতাউল্লাহ ও খালেদের নির্দেশে সেসব অস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেন তারা। এই আস্তনায় ছয়-সাতজনের একটি গ্রুপ অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।’

কক্সবাজারের উখিয়ার লাল পাহাড়ের আস্তানা থেকে মজুতকৃত অস্ত্রসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ তিন সদস্যকে আটকের কথা জানিয়েছে র‍্যাব।

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন সংলগ্ন লাল পাহাড়ে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে এ অভিযান চালানো হয়।

পরবর্তী সময়ে ব্রিফিংয়ে র‍্যাব কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি ও মাস্টার খালেদের নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল পাহাড়ে আস্তানা গেঁড়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করে আরসা সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ। আতাউল্লাহ ও খালেদের নির্দেশে সেসব অস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেন তারা। এই আস্তনায় ছয়-সাতজনের একটি গ্রুপ অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।

‘অভিযানে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিরা অভিযান টের পেয়ে পলিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক শর অধিক অ্যামুনিশন উদ্ধার করা হয়।’

র‌্যাবের ভাষ্য, আটক তিনজন হলেন আরসার গান কমান্ডার উসমান, মাইন বিশেষজ্ঞ নেছার ও শুটার ইমাম হোসেন।

আটকদের সম্বন্ধে যা জানাল র‌্যাব

র‌্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, আটক উসমান আরসার গান গ্রুপের কমান্ডার। দুয়েক মাস আগে আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার সমিউদ্দিন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলে পরবর্তী সময়ে উসমানকে গান গ্রুপের কমান্ডার নিযুক্ত করে আরসা। আরসার সঙ্গে নিজের নাম লেখানোর আগে তিনি পার্শ্ববর্তী একটি দেশে সেনাবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি জানান, ২০১৭ সালে উসমানের পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করে মিয়ানমার সরকার। তখন উসমান একটি একে-৪৭ নিয়ে পালিয়ে আসেন এবং পরবর্তী সময়ে মাস্টার খালেদের সঙ্গে আরসায় যোগ দেন।

র‍্যাব আরও জানায়, উসমান নিজ হাতে দুজনকে হত্যা করেন, যাদের একজন ক্যাম্প-১৭-এর বাসিন্দা আবদুল্লাহ। আরেকজনকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।

বাহিনীটি জানায়, আরসার মাইন গ্রুপের ১০ সদস্যের মধ্যে নেছার হলেন মাইন বিশেষজ্ঞ, যার হাত দিয়ে তৈরি হয় পাঁচ শতাধিক মাইন। এসব মাইন গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে আরসা সদস্যদের একেক জনকে দুই-তিনটি করে দিতেন তিনি।

র‌্যাব জানায়, আটক ইমাম হোসেন দক্ষ শুটার, যিনি উসমানের গান গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

এ বিভাগের আরো খবর