আট দিন পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে প্রায় ৩০০ মিটার দূর থেকে ফেরিটি করা হয়। পরে ফেরিটি ৫ নম্বর ঘাটের পূর্ব পাশের দরিকান্দি এলাকার নদীর পাড়ে নোঙর করে রাখা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রজনীগন্ধ ফেরি ডুবে যাওয়ার পর ফেরি ও যানবাহন উদ্ধার কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। কিন্তু ডুবে যাওয়া ফেরির ফেরির ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এরপর উদ্ধার কাজে হামজা ও রুস্তমের পাশাপাশি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় যোগ দেয়।
খালেদ নেওয়াজ জানান, নদীতে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় যোগ দিয়েও তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। এরপর ঝিনাই নামের বিশেষ একটি জাহাজ উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে। যার ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডুবে যাওয়া সব যানবাহন ও ফেরি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার দিনে ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাক ও কার্ভাভ্যান উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা যানবাহনগুলো ঘাটের পাশে রাখা হয়েছে। তবে ডুবে যাওয়ার ফলে যানবাহনে থাকা মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। ফেরি ডুবে যাওয়ার পর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার কাজ শুরু করলেও উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ফেরি উদ্ধারের মাধ্যমে উদ্ধারর অভিযান সমাপ্ত করে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, ফেরি ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ছয়দিন পর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের ১৩ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বাহাদুরপুর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় ফেরি রজনীগন্ধার সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ছোট-বড় ৯টি যানবাহন এবং চালক-হেলপারসহ ২১জন ব্যক্তিকে নিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ২০জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ফেরির সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবির নিখোঁজ হন তখন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।