বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি মামলায় নাটোরে কারাগারে ৪

  • প্রতিনিধি, নাটোর   
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০

নলডাঙা থানার ওসি বলেন, ‘আগেও সুপারের কাছে এসে চাঁদা দাবি করেছিলেন অভিযুক্তরা। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন। এ সময় তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার পরিচয়পত্র ও গণমাধ্যমের স্টিকার লাগানো ৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’

নাটোরের নলডাঙ্গায় একটি মাদ্রাসায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে চারজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন- ময়মনসিংহের আকনপাড়া গ্রামের ২৭ বছর বয়সী লিমন হোসেন, গাজীপুর জেলার মোঘরখাল এলাকার ২৮ বছর বয়সী জয় সরকার, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হামরাজ গ্রামের ২৭ বছর বয়সী ইউনুস আলী জয় এবং শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ভারতকান্দি গ্রামের ২৪ বছর বয়সী সিহাব মিয়া।

নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় যান লিমন, জয়, ইউনুস, সিহাব নামে চার যুবক। পরে তারা প্রধান শিক্ষকসহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকের কাছে গিয়ে নিজেদের দৈনিক আজকের বসুন্ধরা, বাংলাদেশ সমাচার, এই বাংলা ও চ্যানেল ২১-এর সাংবাদিক পরিচয় দেন। এ সময় সাংবাদিত পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তিরা মাদ্রাসার নানা অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করার ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তীতে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় তাদের কথাবার্তা ও চলাফেরায় সন্দেহ হলে সেখানে জমায়েত হওয়া স্থানীয়রা তাদের নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। একসময় অসংলগ্ন কথাবার্তায় উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী তিন যুবক ও গাড়িচালককে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা করেন।

ওসি বলেন, ‘আগেও সুপারের কাছে এসে চাঁদা দাবি করেছিলেন অভিযুক্তরা। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন। এ সময় তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার পরিচয়পত্র ও গণমাধ্যমের স্টিকার লাগানো ৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর