যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব যথাসময়ে সরকার সবই করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেক দণ্ডিত ব্যক্তির রায় কার্যকর নিশ্চিত করতে চায় আমাদের সরকার। তারেক রহমানের ইস্যুতে সরকার উপযুক্ত সময়ে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে।’
আদালতের রায় বাস্তবায়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবি
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় কার্যকর করতে সরকার বিএনপির দণ্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তবে সবকিছুই নির্ভর করছে যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর।’
গত বছর ওয়াশিংটনে ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা সার্ভিসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘তিনি সেখানে (যুক্তরাজ্য) আছেন। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে ফিরিয়ে এনে তাদের সাজা কার্যকর করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে এখন বিষয়টি পুরোপুরি ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারা কি তাকে সেখানে রাখবে নাকি শাস্তি কার্যকর করতে দেবে? এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। ছবি: ফোকাস বাংলা
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
এ সময় যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছেন, এমন অনেকে আছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।