বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইন মাছ বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে সাগরে উপকূলীয় জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে সোনা-বাইন মাছ। পাথরঘাটার ঘাটে আসা প্রতিটি ট্রলারেই দেখা মিলছে এ মাছের। বাংলাদেশের বাজারে এ মাছের চাহিদা কম থাকলেও সেগুলো রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। বিশেষ করে চীন ও মালয়েশিয়া রপ্তানি হয় সোনা-বাইন মাছ।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, মাছ শিকার শেষে সাগর থেকে ঘাটে ফিরে আসা প্রতিটি ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ মণ সোনা-বাইন মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। জাত ও আকারভেদে প্রতি মণ সোনা-বাইন বিক্রি হয় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইন মাছ বিক্রি হয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটে। খবর বাসসের
স্থানীয় মৎস্য আড়তদাররা জানান, বর্তমানে সাগরে সোনা-বাইন একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছটি ধরা পড়ায় জেলেরা বেশ খুশি। শীত মৌসুমে জেলেরা গভীর সমুদ্রে বড় ফাঁসের জাল দিয়ে সোনা-বাইন মাছ শিকার করেন। এ মাছ দুই ধরনের হয়। সাদা-বাইন প্রতি মণ ২০ থেকে ২৫ হাজার ও সোনালী রংয়ের বাইন প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা ও মৎস্য গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সোনা-বাইন মাছের পেটের মধ্যে ‘বালিশ’ সদৃশ যে অঙ্গটি থাকে তা খুবই দামি হওয়ায় বেশি দামে এ মাছগুলো বিক্রি হয়। চীন ও মালয়েশিয়াতে এ মাছের ‘বালিশগুলো’ প্রক্রিয়াজাত করে দামি খাদ্য তৈরি করা হয়। শীতকালে প্রজননের জন্য মাছগুলো এ অঞ্চলে আসে। তাই এ সময়ে একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে।