বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে লুট করতেন তারা

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:০০

পুলিশ জানিয়েছে, দালাল চক্র বিভিন্ন কৌশলে পর্যটকদের কটেজ জোনের বিভিন্ন রুমে নিয়ে যায়। পরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত নারীদের দিয়ে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এসব কাজ বাড়তে বাড়তে এখন অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে কটেজ জোন। সেখানে মাদকের ছড়াছড়িও হয়েছে।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ভ্রমণে আসেন। কিন্তু আনন্দের সময় কাটাতে এসে প্রায় সময় পর্যটকের ওপর নেমে আসে বিপত্তি। ফলে সর্বহারা হয়ে ফিরতে হয় অনেকের। বিভিন্ন সময় পর্যটকদের নানা অভিযোগের পর অনুসন্ধানে নামে টুরিস্ট পুলিশ।

সোমবার গভীর রাতে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল কটেজ জোনে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধী চক্রের ১১ জন পুরুষ ও ৭ নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুটে নেয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে বলে মন্তব্য পুলিশের।

মঙ্গলবার দুপুরে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর্যটক হয়রানির তথ্য অনুসন্ধান করে আমরা জানতে পারি, দালাল চক্র বিভিন্ন কৌশলে পর্যটকদের কটেজ জোনের বিভিন্ন রুমে নিয়ে যায়। পরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত নারীদের দিয়ে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এসব কাজ বাড়তে বাড়তে এখন অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে কটেজ জোন। সেখানে মাদকের ছড়াছড়িও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আটককালে এমন অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন অপরাধী চক্রের সদস্যরা। অপরাধ কর্মকাণ্ড বেশি হয়, কটেজ জোনে এমন ৬টি হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত হোটেলের মালিক এবং ম্যানজারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, দালাল চক্রে অন্তত ৪০-৫০ জন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে নারী রয়েছে ১২-১৩ জন। মূলত তারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে নারীদের ফুসলিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে এসে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করে। তালিকায় রয়েছে রোহিঙ্গারাও।

অপরাধীদের সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে আপেল মাহমুদ বলেন, ‘যেসব কটেজ নাম ঠিকানাবিহীন, রেজিষ্ট্রেশন নেই এবং কোনো সাইনবোর্ড নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। মাদক, ছিনতাই, অপরাধের বিরুদ্ধে টুরিস্ট পুলিশ সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর