তীব্র শীতে মেহেরপুরের শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জেলার সব প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
মঙ্গলবার সকাল নয়টায় মেহেরপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, সোমবার মেহেরপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ এলাকার আবহাওয়ার তথ্য প্রদানকারী চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘মঙ্গলবার মেহেরপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। আর সকাল নয়টায় তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।’
হোটেল বয় শাহিন বলেন, ‘হোটেলে থালা-বাটি-গ্লাস ধোয়া আমার কাজ। আজ পানি নাড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে বরফ নাড়ছি। পরে চুলা থেকে গরম পানি নেয়ার পর সেগুলি ধুয়েছি।’
দিনমজুর আলম বলেন, ‘আমরা সকালে কাজের সন্ধানে বের হই। অথচ যে শীত আমরা কাজে বাইরে যাব সে উপাই নাই।’
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নুর ইসলামের মা বলেন, ‘এ ঠান্ডায় ছেলে-মেয়েকে স্কুল পাঠানোর সময় ওরা শীতে কাঁপছে থাকে। যাক স্কুল ছুটি ঘোষণা করায় এ শীতে ওরা একটু চাপ মুক্ত হলো।’
আনন্দ ডিজিটাল স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের মেহেরপুরে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নিদের্শনা না পাওয়ায় সোমবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালিয়েছি, তবে সোমবার নিদের্শনা পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিভাগীয় উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগ খুলনার নির্দেশক্রমে তাপমাত্রাজনিত কারণে ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি মেহেরপুর জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’