উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া, রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকা ঘন কুয়াশায় উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৭ ডিগ্রির ঘরে। এতে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে তাপমাত্রা রের্কড করা হয় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত তিন সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এই জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
মাঝেমধ্যে সূর্য উঁকি দেয়ার চেষ্টা করলেও মুহূর্তেই মেঘ এসে ঢেকে ফেলছে সূর্যকে। সন্ধ্যা থেকেই অতি ভারি কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা জেলা। বিশেষ করে নদী অববাহিকার সড়কগুলোতে যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। তীব্র ঠান্ডায় দিনভর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘মঙ্গলবার পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। পুরো জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা এমন থাকবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর থেকে আস্তে আস্তে শীত কমতে থাকবে।’
শীতের তীব্রতা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় পঞ্চগড়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার ও বুধবার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।