নওগাঁয় অবৈধভাবে অতিরিক্ত ধান ও চালের মজুত রাখার অভিযোগে ১০ জন ব্যবসায়ীকে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে মজুতকৃত সকল ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেল থেকে সোমবার রাত ৯টার দিকে এ তথ্য প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা।
জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী সেতু এবং ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
নিয়ামতপুর উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে এক হাজার ৮০০ মন ধান মজুত রাখায় জাহাঙ্গীর শেখকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং নিমদীঘি বাজারে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত প্রায় দুই হাজার ৫০০ মণ ধান অবৈধভাবে মজুত করায় রুহুল আমিনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ ছাড়াও সাপাহার উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুতের দায়ে দুইজন ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ধামইরহাট উপজেলায় কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ১৯ ধারায় দুইজনকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়।
এ ছাড়াও সদর উপজেলায় ধান ও চালের অবৈধ মজুত রাখা ও লাইসেন্স বিহীন রাইস মিল পরিচালনায় চারজন মিল মালিককে চারটি মামলায় সর্বমোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অভিযানে ধান ও চালের দাম কমার প্রভাব পড়েছে। সদর উপজেলায় খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে মোটা স্বর্ণা-৫ জাতের চাল সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।