বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় দিনে আবারও বেশ জমজমাট লড়াই উপভোগ করতে পেরেছে দেশের সব ক্রিকেটভক্ত। যদিও দিনের প্রথম ম্যাচটা হয়েছে একটু লো স্কোরিং। তবু এই ম্যাচে লড়াইটা হয়েছে বেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশ কিছু ক্রিকেটারের জন্য ছিল পজিটিভ দিক। চলুন আপনাদের বিষয়গুলো একটু বুঝিয়ে বলি।
দিনের প্রথম ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। এ দিন ঢাকার ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল তাসকিন আহমেদের ৯ বলে ১৫ রানের ক্যামিও। বেশ কিছুদিন ধরেই বোলিংয়ের পাশাপাশি নিজের ব্যাটিংয়েও বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছিলেন তিনি। যার ফল দেখা গেল আজ। সামনেই রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে টুর্নামেন্টেও যদি তাসকিন বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও খেলতে পারেন, তাহলে কিন্তু লাভ হবে বাংলাদেশ দলেরই।
এরপর প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও তরুণ তুর্কি তানজিদ তামিমের ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। তিনি ব্যাট করেছেন দায়িত্ব নিয়েই। পাশাপাশি এই ম্যাচে ঢাকার দুই পেসার শরিফুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদের বোলিংও ছিল দারুণ; বলতে গেলে চিরচেনা। শরিফুল কিছুটা খরুচে হলেও এ দিন নিয়েছেন ২ উইকেট। আর তাসকিন একটি উইকেট নিলেও ছিলেন ইকোনমিক্যাল। ৪ ওভারে খরচ করেছিলেন মোটে ২৬ রান। যদিও এ দিন আর জয়ী হতে পারেনি ঢাকা।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচই ছিল বলতে গেলে ক্রিকেটভক্তদের জন্য পয়সা উসুল। কারণ এ ম্যাচের উভয় ইনিংসেই মারকাটারি ব্যাটিংয়ের দেখা মিলেছে। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বরিশালের হয়ে এ দিন দারুণ ছন্দে ছিলেন দলটির অধিনায়ক তামিম ইকবাল। খেলেছেন ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস।
তবে এই ম্যাচে দৃষ্টি কেড়েছে তামিমের ফিটনেস। বেশ দারুণভাবেই একেকটি রানের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন তামিম, যা দেশের ক্রিকেটভক্তদের কিছুটা হলেও দেবে স্বস্তি। বাদ যাননি মুশফিকও। খেলেছেন ৩৯ বলে ৬৯ রানের এক অবিশ্বাস্য ইনিংস; খেলেছেন বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন শট। পাশাপাশি এ দিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ছিলেন দারুণ ছন্দে। নিজের ২৭ রানের ইনিংসে এ দিন রিয়াদ হাঁকিয়েছেন দুটি বিশাল ছক্কা, যে শটগুলো ছিল দেখার মতোই।
তবে এ দিন আরও দুর্দান্তভাবে ব্যাট করেছেন আরেক টাইগার ওপেনার এনামুল হক বিজয়। খেলেছেন ৪৩ বলে ৬৬ রানের এক অসাধারণ ইনিংস। নিজের ইনিংসের শুরুর দিকে যেমন ছিলেন আগ্রাসী, ঠিক তেমনি মাঝপথে খেলেছেন দেখেশুনে। এরপর শেষের দিকেও বড় কিছু শট খেলে দলকে এনে দেন দারুণ এক জয়।