এবারের নির্বাচন নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দল ক্ষমতায় থাকলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, সেটা এবার প্রমাণ হয়েছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন অন্য পথে হাঁটছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে ও দুরভিসন্ধি করে যারা পণ্য মজুত করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। দেশে আর কখনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।’
বাজার নিয়ে কেউ যেন কোনো খেলা খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ভরা মৌসুমেও চালের দাম এত বেশি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছি। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটেছে। এখন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলিতা দরকার। ভোট হতে দেবে না, ভোটার যেতে দেবে না- এমন হুমকির পরও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল দেশের মানুষ। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছে মাত্র ৩০ আসন। এরপর থেকে তারা দেশজুড়ে সহিংসতা, অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। নির্বাচন করবে না সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু এ দেশের মানুষ নির্বাচন গ্রহণ করেছে। অথচ কিছু আঁতেল ভোট নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। নির্বাচন কীভাবে করব তা নিয়ে সভায় আলোচনা হবে। দেশের একটা গোষ্ঠী অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। কিন্তু এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে দেয়া হবে না। অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’