মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা-গোমতী নদীর পশ্চিম তীরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ওই সময় অবৈধ স্থাপনা ভাঙার পাশাপাশি নদী দখল করায় একটি প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টা থেকে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের বসুরচর মৌজায় মেঘনা-গোমতী নদীর পশ্চিম তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন তারা। ওই সময় প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের একটি শেড ভেঙে দেয়া হয়। পাশাপাশি গ্রামবাংলা এনপিকে ফার্টিলাইজার লিমিটেড ও কয়েকটি কয়লার গদির কিছু অংশ ভেঙে দেয়া হয় এবং অবৈধভাবে নদীর দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় মেঘনা লজিস্টিক নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, ‘দুই দিনে অভিযানে ১২০ বিঘা জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি অবৈধভাবে নদী দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় মেঘনা লজিস্টিক নামে কয়লা পরিবহনের কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বিষয়টি সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিএর মেঘনাঘাট নদীবন্দরের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের অভিযানের শুরুতেই প্যাসিফিক ইন্টিগ্রেইটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভেতরে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নতুন তৈরি করা একটি শেড গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়াও একটি গ্রামবাংলা এনপিকে ফার্টিলাইজার লিমিটেড ও কয়েকটি কয়লার গদির সামনের অংশ ভেঙে দেয়া হয়েছে।’
নদী দখল করে নির্মাণ করা প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড এবং গ্রামবাংলা এনপিকে ফার্টিলাইজার লিমিটেডের সব অবৈধ স্থাপনা কেন ভেঙে দেয়া হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটি মুচলেকা দেয়ায় তাদের কিছুদিন সময় দেয়া হয়েছে, তবে মুচলেকার কাগজ দেখতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কী কারণে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলো না এ ব্যাপারে আমি খবর নিচ্ছি। কোম্পানি যদি চালু থাকে, তবে তারা মুচলেকা দিয়ে সময় নিতে পারবে। আমি খবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।’