বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট: গণপরিবহন নিয়ে ভোগান্তি

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:৪৯

গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও রোববারের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে কিছুটা বেড়েছে গণপরিবহনের সংখ্যা।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে গ্যাস-বিপর্যয় ঘটে।

সারা দিন পর সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট কিছুটা কাটলেও গণপরিবহনের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মিলছে খুবই কম। যাও কিছু চলাচল করছে, তাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামে শুক্রবার সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (কেজিডিসিএল)।

ওইদিন রাত ১০টার দিকে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়, তবে সরবরাহ শুরু হলেও শনিবার সকাল ১২টা পর্যন্ত স্বাভাবিক সরবরাহ পাননি বলে জানান বেশির ভাগ এলাকার গ্রাহকরা। অনেকেই চুলা জ্বালাতে পারেননি। গ্যাস না থাকায় সিএনজি স্টেশনগুলোও অকেজো হয়ে পড়ে।

রোববার এলএনজি সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, তবে ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের চাপ আগের চেয়ে বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী সংকট কাটেনি। এতে গ্যাস সরববাহ স্বাভাবিক হওয়ার দুই দিন পরও গণপরিবহন সংকটের কারণে কর্মজীবীদের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নগরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে কর্মজীবী নারী ও পুরুষরা গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহন ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম সিএনজি চালিত অটোরিকশা চোখে পড়েনি তেমন।

বহদ্দারহাট মোড়ে সিএনজি অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মাহতাব উদ্দিন। তিনি যাবেন আগ্রাবাদ।

মাহতাব জানান, ৪৫ মিনিট অপেক্ষার পর অটোরিকশার পেলেও ভাড়া দিতে হয়েছে ২০০ টাকা। স্বাভাবিক ভাড়া ১০০ টাকার বেশি না। রিকশায়ও ৩০ টাকার ভাড়া ৮০ টাকা, এমনকি ১০০ টাকাও নেয়া হচ্ছে।

৮০ টাকার ভাড়া ১৮০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে বলেও জানান যাত্রীরা।

মুরাদপুর, আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট মোড়, বহদ্দারহাট, ২ নাম্বার গেট এলাকায় রোববার সকালে কর্মজীবীদের ভিড় দেখা যায়।

তারা জানান, আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গাড়ি মেলেনি। কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেট্রো ট্রান্সপোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করেও গ্যাস পায়নি। বিশেষ করে অটোরিকশা, মিনিবাস ও টেম্পোতে এ সমস্যা দেখা দেয়।’

এদিকে সিএনজি স্টেশনগুলোতে দেখা যায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন। শত শত গাড়ি গ্যাসের জন্য লাইন ধরে অপেক্ষা করছে। নগরের ষোলোশহর এলাকার ফসিল সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দেখা যায় গাড়ির লম্বা লাইন।

চালকরা জানান, সারা রাত অপেক্ষার পরও অনেকে গ্যাস পাননি। তাই গাড়িও চলছে না।

তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও রোববারের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে কিছুটা বেড়েছে গণপরিবহনের সংখ্যা।

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক গৌতম কুণ্ডু বলেন, ‘গ্যাসের চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। আস্তে আস্তে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর